চিত্রনাট্য লিখতে বসবার আগে একটা কথা মনে রাখবেন। ভালো চিত্রনাট্য লেখবার জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে ভালো কাহিনি এবং কাহিনি দেখানোর বা বলবার ভালো ঢং। সুন্দর চিত্রনাট্য তৈরি করবার জন্য দরকার সিনেমা বানাবার ভালো টেকনিক্যাল জ্ঞাণ বা নির্মান কৌশলের স্বচ্ছ ধারনা । আপনাকে ক্যামেরা চালানো জানতে হবে না বা সম্পাদনা করা জানতে হবে না তবে ক্যামেরা বা সস্পাদনায়ে কী কী করা সম্ভব এবং তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্ক্যে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। আধুনিক কালের সিনেমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত সফ্টওয়ারএবং হার্ডওয়ের সম্পর্ক্যে জানা থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে চিত্রনাট্য মানে চলচ্চিত্রের শিল্পগত এবং কারিগরী পরিকল্পনার লিখিত পরিকল্পনা বা নীল নক্সা। এই চিত্রনাট্য দেখেই এবং এর উপর নির্ভর করেই চলচিত্র নির্মানের মত একটা জঠিল আর সমন্নিত শিল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এক বারে চলচ্চিত্রের যে সামান্য চিত্ররূপ বা অংশ ক্যামেরায়ে ধারন করা হয় সেইটুকু অংশকে বলা হয়ে থাকে শট। এক বা একাধিক শটের সম্মনয়ে নির্মিত দৃশ্যেরে অংশকে বলা হয় দৃশ্যাংশ বা সিকোয়েনস; আবার এক বা একাধিক দৃশ্যাংশ বা সিকোয়েনসকে মিলিযে নির্মিত অংশকে বলা হয় দৃশ্য বা সিন। বিষদ বলা আছে ‘শটের বিধান বা শটে শটে সিনেমা’ অধ্যয়ে। এবার একাধিক দৃশ্য মিলিয়ে নির্মিত হয় সিনেমা বা চলচ্চিত্র। আগে একটা দৃশ্য দিয়েও সিনেমা নির্মিত হতো। আজো কেউ কেউ তেমনই অন্য ধাচেঁর ছবি বা চলচ্চিত্রও বানান।
শট গেথেঁ গেথেঁ দৃশ্যাংশ আর দৃশ্য গড়ে তুলে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্যের মাধ্যমে একটা কাহিনি বলে ফেলবার কাজটা করতে হয় চিত্রনাট্যকারকে। তাই কিছু সর্বজনসিদ্ধ নিয়ম মেনে চিত্রনাট্যটা লিখলে সংশ্লিষ্ট সব শিল্পি ও কলাকুশলীর পক্ষে সেটিা কার্যকরী এবং ব্যবহারবান্ধব বা ইউজার ফেন্ডলি হয়ে উঠতে পারে।
একই স্থান, কাল আর পাত্রের অভিনয়াংশ চিত্রগ্রহণকে বলা হয় দৃশ্যাংশ বা সিকোয়েন্স। সিকোয়েন্স বা দৃশ্যাংশ হলো কারিগরি বিভাজন আর দৃশ্য হলো কাহিনির সবচাইতে ছোট ছোট খন্ড; এটা শিল্পজাত বিভাজন। আমরা সিকোয়েন্স বিভাজন অনুসারেই চিত্রনাট্য লিখবো; তাকে শট ডিভিশন করে কাজ করতে সুবিধা। একই স্থান, কাল আর পাত্রের অভিনয়াংশ এক বা একাধিক শটে চিত্রধারন করে নেওয়া বা; একই স্থানে একই কালের বা সময়ের মধ্যে এক বা একাধিক পাত্র-পাত্রিরা কাহিনির যতটুকু অংশ অভিনয় করে সেটুকুই একটা সিকোয়েন্স।
**চিত্রনাট্যে বারবার যে সমস্ত লাইন বা প্যারা ফরমেট করতে হয় সে গুলো ফরমেট করে তার সর্টকার্ট কী [] বন্ধনীর মধ্যে দিয়ে দেওয়া হলো।
00 Coverpage Title
চিত্রনাট্যের উপরের পৃষ্ঠা বা কভার পেইজ বা প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায়ে বড় করে চলচ্চিত্রের শীরোনাম লিখতে হয়।
00a Coverpage Writers
চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায়ে শীরোনামের পর চিত্রনাট্যকার ও কাহিনিকারের নাম লিখতে হয়।
00b Coverpage Address
চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায়ে শীরোনাম, চিত্রনাট্যকার ও কাহিনিকারের নামের পর পৃষ্ঠার বাঁ দিক ঘেসে চিত্রনাট্যকারের যোগাযোগের সম্পূর্ণ ঠিকানা লিখতে হয়। প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায়ে কোন পৃষ্ঠা নং থাকবে না। এর পর থেকেই চিত্রনাট্য শুরু।
01 Starting Transition,f… [Ctrl+Num 1]
চিত্রনাট্য শুরু হয় Fade in Transition দিয়ে। Transition শব্দের অর্থ স্থানান্তকরণ বা একটা থেকে আর একটায়ে বদল হওয়া। এখানে Transition শব্দটা দিয়ে বোঝানো হয় বদল হবার মাধ্যম বা প্রক্রিয়া। অর্থাৎ শটের সাথে শটের বদল হবার মাধ্যম বা প্রক্রিয়া কি হবে। Transition বিষয় একটা অধ্যয়ে বিষদ আলোচনা করা হবে। এখন শুধু বলে রাখি যেহেতু যে কোন কাহিনিই অনেক বড় কোন কাহিনির অংশ, তাই ধরে নেওয়া হয় আগের কালো ব্যাকগ্রাউন্ড অংশ থেকে আমাদের কাহিনিটা বলা শুরু হলো তাই চিত্রনাট্য লেখা বা সিনেমা শুরু হয় Fade in Transition দিয়ে।
প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা দরকার সিনেমা বা চিত্রনাট্য লেখা কখনোই Fade Out দিয়ে শেষ হয় না। এই টেম্প্লেটে f… হলো Fade in লেখার শর্টকার্ট
02 Sluglines [Ctrl+Num 2]
দৃশ্যাংশ দিয়েই আমাদের লেখা গেথে ওঠে, কতগুলো শট পর পর সাজিয়ে তুলে তৈরি হয় দৃশ্যাংশ। প্রতিটা সিকোয়েন্সে ক্রমিক নম্বর সহ এক লাইনের স্থান, কালের ঢিলে ঢালা উল্লেখ থাকে, একে বলে স্লগ লাইন।
02a Sluglines,top para
03 Action (Bengali) [Ctrl+Num 3]
04 Bengali to Eng [Ctrl+Num 4]
05 Character [Ctrl+Num 5]
06 Dialogue [Ctrl+Num 6]
07 Transition [Ctrl+Num 7]
08 Continued,end [Ctrl+Num 8]
Leave a comment